পুলিশকে বিতর্কে জড়াতে নই – সচেতনতা বৃদ্ধি করাতে জন সম্মুখে আনা হচ্ছে বিভিন্ন অভিযোগ
আমরা ভালোবাসি আমাদের দেশকে, আরো ভালোবাসি যার বিনিময়ে পেয়েছি এই সোনার বাংলাদেশ’ তাদেরকে।
এই পর্যায়ে বর্তমানও ভালোবাসা অটুট রয়েছে তাদের তরে যারা এই করোনা কালে হতদরিদ্র কেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে কঠিন পরিশ্রমের শক্তি নিয়ে।
এরা কারা?
বলতে গেলে সবার মাঝে-সবার আগে গভীর ভাবে ভাবতে গেলে প্রথমে বলতে হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক কৌশল অবলম্বন করে হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল শক্ত হয়ে। এর পাশে কঠিন পরিশ্রমের শক্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল আমাদের বাংলাদেশের সর্বস্তরের প্রশাসন ও রয়েছে আরো অনেক পেশাদারিত্ব ব্যক্তিরা।
তাদের কারণে করোনা সংকটে তেমন ভোগান্তির আবির্ভাব ঘটেনি আমাদের দেশে।
আমাদের গর্ব জাগ্রত পুলিশ বাহিনী নিয়ে কিছু কথা…
করোনাভাইরাসের এই ক্রান্তিকালে আমরা এক ‘বদলে যাওয়া’ পুলিশ বাহিনীকে দেখেছি। অতীতের শত গ্লানি মুছে যেন ক্রান্তিকালের যোদ্ধার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। আর তাইতো আমরা গর্বের সাথে আজ বলতে শিখেছি…’ও পুলিশ বন্ধু রে’।
কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার বাইরে ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের এই সময়ে কি করছে না পুলিশের সদস্যরা ? লকডাউনের মাঝে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা কার্যকর করা থেকে শুরু করে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির লাশ দাফন পর্যন্ত করছে তারা।
এমনকি দুস্থ-অসহায় মানুষের ঘর পর্যন্ত খাবার পৌঁছে দেয়ার মত কাজও করে চলেছেন আমাদের পুলিশ। হ্যাঁ, ভয় কে জয় করে ‘সম্মুখযুদ্ধে’ কাজ করা অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য এরইমধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তবুও থমকে যায়নি, পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি সচেতনতামূলক নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে এ দুর্দিনে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে আমাদের গর্বিত পুলিশ বাহিনী।
তাদের নানান কাজের মধ্যে সচেতনতামূলক ও এক অভিনব কাজ করতে দেখলাম ফরিদপুরের পুলিশকে! তারা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জনগণকে সচেতন করতে লাঠি-বন্দুকের বদলে হাতে তুলে নিয়েছেন রঙ-তুলি! যে রঙ-তুলির আঁচড়ে ফরিদপুরের সড়কে সড়কে আঁকা হচ্ছে করোনাভাইরাস সাদৃশ্য আলপনা।
‘মানুষ যেন ঘরে থাকতে উদ্বুদ্ধ হয়’ সেজন্যই সড়কে এমন আলপনা আঁকা হচ্ছে বলে জানান, ফরিদপুর পুলিশের সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম।
এই কর্মকর্তা এও জানিয়েছেন যে, ‘আলপনা আঁকার পাশাপাশি ফরিদপুর পুলিশের পক্ষ থেকে রাস্তার মোড়ে মোড়ে প্যারোডি গান শোনানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাতে করে মানুষ আনন্দের সাথে ঘরে থাকার বিষয়ে সচেতন হতে পারে।’
জাতির এই সংকটে পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি পুলিশের এইরূপ কার্যক্রম অবশ্যই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। আমরা প্রত্যাশা করি করোনাকালে এই সময়ে চিকিৎসকসহ ফ্রন্টলাইনে কাজ করা অন্যান্য পেশাজীবীদের মতো আমাদের পুলিশ তাদেরকে মেলে ধরবে মানবিকতার শেষ প্রচেষ্টাটুকু নিয়ে। আমরা গর্বের সাথে বলতে চাই, বাংলাদেশ পুলিশ আমাদের অহংকার।
তাই চিহ্নিত করা হউক অপকর্মে জড়িত থাকা এবং প্রভাবশালী হবার লোভে সাধারণ জনগণকে হয়রানি করা ঐসব পুলিশদেরকে।
অটুট থাকে জেন আগামী পুলিশ বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা।
সুত্রঃ কুতুবদিয়া নিউজ ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ সাগর।
Copyright© by Kutubdia News