শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আমূল পরিবর্তনকারী কাঞ্চন গুপ্ত
স্টাফ রিপোর্টার: মোঃআফনান চৌধুরী।
চট্টগ্রাম বাশঁখালী উপজেলার ৪নং বাহারচরা ইউনিয়নের পূর্ব বাশঁখালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হন কাঞ্চন গুপ্ত ২০১১ সালে । তার পূর্ব আমলে বিদ্যালয় চরম অবনতি রুপায়ন ছিলেন। যে বিদ্যালয়টি দেখে আমাদেরকে এগিয়ে যাওয়ার কোনো অনুপ্ররেণা জাগাত না! কারণ বিদ্যালয়টিতে ছিলেন খুবই নোংরা পরিবেশ। যা সারা বাশঁখালীর শিক্ষক ও প্রায় প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ের কাছে ঘৃণার পাত্র হয়ে দাড়িয়ে ছিলেন। ২০১১ সালে পূর্ব বাশঁখালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হলে কাঞ্চন গুপ্ত।
তিনিও প্রায় বহু শিক্ষকের কাছে ঘৃণার পাত্র হয়ে দাড়িয়ে ছিলেন। এমন কি কেউ কাঞ্চন স্যারকে বা তার প্রতিষ্ঠানকে মূল্যায়ন করতেন না! সে অব্যবস্থাতে কাঞ্চন গুপ্ত স্যারের প্রবল অনুরাগের জন্ম নেয়। সেই থেকে শুরু উন্নয়নের আবহাওয়া, বিদ্যালয়ের চত্বরে ছড়িয়েছে আধুনিক বাতাস। সে বাতাসের জোরে ভেসে গেলেন বিদ্যালয়টি। আজও সে বাতাস বন্ধ হয়নি। বিদ্যালয়টি সম্পূর্ণ পাল্টানো হয়েছে মনে হয়, দেখিতে ও টিক তেমন, সৃষ্টি করে দিয়েছে বিদ্যালয়ের অন্যতম একটি জগৎ। ২০১৭সালে বাশঁখালী উপজেলায় অবস্থানরত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হন কাঞ্চন গুপ্ত ।
এই ধারাবাহিকতা অব্যহত রেখে ২০১৯সালে আবার নির্বাচিত হলেন বাশঁখালীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। মনে হচ্ছে বাশঁখালীর প্রতিনিধিদের চোখে পড়েনি! কাঞ্চন নামে এক শিক্ষক দুবার বাশঁখালীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। তবে, বাঁশখালীবাসী দেখতে পাচ্ছি কেউ কেউ কাঞ্চন স্যারে প্রশংসা করেছে ফেসবুকের মাধ্যমে, তাদের মধ্যে কয়েক জন বাঁশখালীবাসীর নজরে আসলেন তারা হলেন মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, কামরুল হাসান নসিম, রোমান মোহাম্মদ আরফাত ও মোঃ আবদুল্লাহসহ বেশ কয়েক জন। কাঞ্চন গুপ্ত স্যার অনুমানিক ১৯৭৫-৭৬ এর দিকে বাশঁখালীর অন্তর্গত ৫নং কালীপুর ইউনিয়নের পালে গ্রামে সম্ভ্রান্ত গুপ্ত পরিবারে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। অবশেষে কাঞ্চন স্যারকে আর্থিক, সার্বিক ও ভিন্ন ভাবে যারা সহযোগিতা করেছেন,তাদের নিকট কাঞ্চন স্যারসহ তার সহযোগি বৃন্দ একে-অপরকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।
Copyright© by Kutubdia News