এক কিশোরী নানা বাড়ি যাওয়ার কথা বলে টিকটক ভিডিও করতে যায় অতঃপর গণধর্ষণের শিকার
গাজীপুরের টঙ্গী থেকে ঢাকায় টিকটক ভিডিও তৈরি করতে গিয়ে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তিনদিন একটি কক্ষে আটকে রেখে গণধর্ষণের পর নির্যাতন করা হয় কিশোরিকে। পরে উদ্ধার করে পুলিশ। মেয়েটি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার বিকেলে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি মামলা করেছে ওই কিশোরীর পরিবার।
ধর্ষণের অভিযোগে দুই কিশোরকে গ্রেফতার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, শরিয়তপুর জেলার ডামুড্ডা থানার মোফাজ্জল ব্যাপরীর ছেলে শিশির(১৭), গেন্ডারিয়া ঢাকা জেলার আনোয়ার হোসেন আকাশের ছেলে জুবায়ের ইসলাম ফাহিম(১৭)।
পুলিশ জানায়, নির্যাতিতা কিশোরী টঙ্গীর রিপাবলিক কিন্ডারগার্টেন স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। তিনি টিকটক ভিডিও তৈরি করতেন। দেশের বিভিন্ন জেলায় টিকটক তৈরি করে এমন কিছু কিশোর-কিশোরীর সাথে ফেসবুকে তার বন্ধুত্ব হয়। পরে নিজে ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ খুলে বিভিন্ন জায়গায় থাকা বন্ধুদের এক সাথে টিকটক তৈরির প্রস্তাব দিলে কিশোরী তার পরিবারকে নানার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে গত বুধবার বিকেলে দত্তপাড়ার বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। বৃহস্পতিবার কিশোরীর মা টঙ্গী পূর্ব থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে গত শুক্রবার পুলিশ রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে।
নির্যাতিতার মা জানায়, সে টিকটক ভিডিও তৈরী করতো। ঘটনার দিন বিকেলে নানার বাড়ি যাবার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরেনি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে থানায় ডায়রী করলে শুক্রবার রাতে পুলিশ আমার মেয়েকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনার ব্যাপারে টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। কিশোরী ও আসামিরা টিকটক ভিডিও তৈরি করতেন।
The news collected
Copyright© by Kutubdia News